সব কিছুর সাথে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আঁখি
সমাজ কর্মীরা ইইউ সোসাল হাব সম্পর্কে তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করছে

- পাওয়া যাবে:
- বাংলা
- English
অশান্ত ও বিপদ সংকূল একটি এলাকা হলো টেকনাফ। সম্প্রতি জাদিমুড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালীন সাত জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে সামাজিক কেন্দ্রগুলো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল নিরাপত্তাহীনতা। যৌবনে প্রবেশের পূর্বেই যেন এসব কিশোর-কিশোরী সামাজিক কেন্দ্রগুলোর সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে - সেটিও কিন্তু সামাজিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল।
প্রধান সামাজিক কেন্দ্র ভবনের পাশে টিনের ছাদযুক্ত একটি বিশাল কক্ষে আঁখি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত একটি অধিবেশন পরিচালনা করছে।
সুন্দর চিত্রকলা এবং টুকরো টুকরো কাগজে ছবি এঁকে দেয়ালে লাগিয়ে কক্ষটি সাজানো হয়েছে এবং কক্ষটিতে একটি উজ্জ্বল লাল গালিচার চারপাশে সবাই বৃত্তাকারে বসে আছে।
আাঁখি জানায়, “এখানে কে বাঙালি আর কে রোহিঙ্গা সেটা মূল বিষয় নয়। মূল কথা হলো, আমরা যদি একে অপরকে ভয় পাই বা একে অপরকে আঘাত করি তবে সামাজিক কেন্দ্র কার্যকর হবে না। আমাদের সব কিছুর সাথে মানিয়ে চলতে হবে।” আঁখির চারপাশে বসে থাকা মেয়েরা মাথা নেড়ে আাঁখির কথায় সম্মতি জানায়।


সামাজিক সমন্বয়ক হিসাবে গত ছয় মাস ধরে আঁখি এই কেন্দ্রটিতে কাজ করছে এবং কেন্দ্রটিতে যে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে এ বিষয়ে আাঁখির কোন সন্দেহ নেই।
নিজেদের আশেপাশে অশান্তি সত্ত্বেও রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় কমিউনিটির ছেলে-মেয়েরা সব কিছুর সাথে মানিয়ে নিয়ে ভালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
আাঁখি আরও জানায়, “আনন্দের সাথেই তারা একে অপরের সাথে মিশে যাচ্ছে এবং তাদের কোন বিরোধ আছে কিনা এ বিষয়ে যদি তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে তারা বলে যে তাদের কোন বিরোধ নেই। কারন এখানে তারা সবাই সবার বন্ধু।”
এর অর্থ এই নয় যে, ক্লাবটিতে সমাধান করার মতো কোন সমস্যা নেই। যেমন, শ্রেণিকক্ষের সাইজ আাঁখির জন্য বড় একটি সমস্যা।
তবে, প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সেগুলো সম্পর্কে আাঁখি কথা বলতে দ্বিধা করে না। বরং আরও কিশোর-কিশোরীকে সামাজিক কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করছে আাঁখি।
তারা যখন এ কাজগুলো করে তখন সবকিছুই মূল্যবান বলে মনে হয়।
হাসিমুখে আাঁখি আরো জানায়, “কেউ যখন এসব বাচ্চাদের সাথে থাকে তখন সামাজিক কেন্দ্রে প্রতিদিনই কিছু না কিছু মজার ঘটনা ঘটে!”
ঘোষণা: গোপনীয়তা রক্ষায় কিছু ব্যক্তির নাম এবং পরিচয় পরিবর্তন করা হয়েছে।
স্থিতিশীলতা এবং শান্তিতে সহায়তাকারী ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইন্সট্রুমেন্টের (আইসিএসপি) সহযোগিতায় ইউনিসেফের এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাড়ানো, এবং রোহিঙ্গা ও স্বাগতিক বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সংহতি শক্তিশালী করা ও নিজেদের মধ্যে ব্যবধানকে কমিয়ে আনা। প্রকল্পের ডিজিটাল ব্রোশিওর (digital brochure) এবং পোস্টার (poster) এখানে ডাউনলোড করতে পারেন।
এই প্রকাশনাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় করা হয়েছিল। এই প্রকাশনাটির বিষয়বস্তুর সম্পূর্ণ দাবীদার ইউনিসেফ এবং এখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতামত প্রতিফলিত হয় না।