ক্রীড়া দিবস
কক্সবাজারের ইইউ সোস্যাল হাবের খেলাধুলা কার্যক্রম রোহিঙ্গা মেয়েদের পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে

- পাওয়া যাবে:
- বাংলা
- English
রোহিঙ্গা মেয়েরা পার্চেসি এবং মার্বেলের মতো বিভিন্ন কর্মকান্ড এবং খেলায় অংশ নেয়। টেবিলের উপরের জনপ্রিয় খেলা ক্যারাম বোর্ড বাংলাদেশে সর্বাধিক জনপ্রিয়। এখানে বোর্ডের চারটি পকেটের যে কোনও একটিতে ছোট গুটিগুলোকে ফেলতে খেলোয়াররা তাদের আঙ্গুল ব্যবহার করে একটি গোলককে আঘাত করে।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রোহিঙ্গা মেয়েদের জন্য সপ্তাহের তিনদিন বরাদ্দ রয়েছে। তবে, অধিকাংশ মেয়েই প্রায় প্রতিদিনই সামাজিক কেন্দ্রে আসে। গ্রুপের হয়ে সেতারা কথা বলে।
ফরিমা জানায়, “সামর্থ্য বাড়ানোর মতো জীবন-দক্ষতা সম্পর্কিত অধিবেশনগুলো আমরা সত্যিকার অর্থে উপভোগ করি।”
এই গ্রুপটিকে চৌদ্দ থেকে উনিশ বছর বয়সীদের একটি আড্ডাবাজ এবং বন্ধুসুলভ দল বলে মনে হয়।
তবে, এদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী ইয়াসমিনাহ কেউ কেউ আবার বেশ লাজুক।
সামাজিক কেন্দ্রে তার প্রিয় অধিবেশনগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সে চুপ হয়ে যাওয়ার আগে একটু মুচকি হেসে দেয়।
তার বন্ধু আইশা তাকে বার বার অনুরোধ করার পরে ইয়াসমিনা সাহস করে বলে যে, সে তার বন্ধুদের সাথে দড়ি-টপকানো খেলতে পছন্দ করে।


রোজিনা অনেকটা চুপিসারে সামাজিক কেন্দ্রটির খেলার কক্ষে যায়। এখানে একজন সাহায্যকারী তাকে শীর্ষতম তাকটিতে পৌঁছাতে এবং একটি স্কিপিং দড়ি পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে। আশ্রয়শিবিরের মেয়েরা এবং যুবতী নারীরা বেছে নিতে পারে এমন কয়েকটি অনুশীলনের মধ্যে সম্ভবত এটি একটি।
দড়ির উপস্থিতি সকল মেয়েকে খেলায় যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত করে এবং হঠাৎ করেই দৃশ্যপটটি জীবন্ত হয়ে উঠে।
দড়ি-টপকানোর জন্য মেয়েরা আরও দড়ি খুঁজতে থাকে এবং সামাজিক কেন্দ্রের সামনের উঠোনে দড়ি ছড়িয়ে দেয়।
কখনও কখনও দুই থেকে চারজন মেয়ে একসাথে দড়ির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এগুলোর সাথে সাথে তারা ছড়া বলতে থাকে এবং লাফ দিয়ে চারপাশে ঘোরাঘুরি করার জটিল কৌশলগুলো অবলম্বন করে।
যখন ইয়াসমিনা কোন বিষয়কে অন্যায্য মনে করে তখন সে হঠাৎ করে হিংস্র হয়ে উঠে এবং অন্য মেয়েদের সাথে মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকে।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোজিনা দড়িটির পাশে লাফায় বা ঘোরাফেরা করে, অন্যদের সাথে হাসতে ও গান গাইতে থাকে এবং যতটা জোরে সম্ভব ছড়া উচ্চারণ করতে থাকে।
ঘোষণা: গোপনীয়তা রক্ষায় কিছু ব্যক্তির নাম এবং পরিচয় পরিবর্তন করা হয়েছে।
স্থিতিশীলতা এবং শান্তিতে সহায়তাকারী ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইন্সট্রুমেন্টের (আইসিএসপি) সহযোগিতায় ইউনিসেফের এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাড়ানো, এবং রোহিঙ্গা ও স্বাগতিক বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সংহতি শক্তিশালী করা ও নিজেদের মধ্যে ব্যবধানকে কমিয়ে আনা। প্রকল্পের ডিজিটাল ব্রোশিওর (digital brochure) এবং পোস্টার (poster) এখানে ডাউনলোড করতে পারেন।
এই প্রকাশনাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় করা হয়েছিল। এই প্রকাশনাটির বিষয়বস্তুর সম্পূর্ণ দাবীদার ইউনিসেফ এবং এখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতামত প্রতিফলিত হয় না।