আামাদের সম্পর্কে
প্রতিটি শিশুর জন্য, জীবনের সব প্রয়োজনে

- পাওয়া যাবে:
- বাংলা
- English
বাংলাদেশে শিশুদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও কল্যানে ইউনিসেফ ১৯৫২ সাল থেকে কাজ করছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। ইউনিসেফ সবসময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের শরণার্থীদের জন্য জরুরি ত্রাণ প্রদান থেকে শুরু করে ২০১৭ সালে নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদেরও সহায়তা করছে ইউনিসেফ।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৬ কোটি ২৬ লাখের অধিক শিশু রয়েছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। তাদের জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম ভবিষ্যৎ গড়তে ইউনিসেফ সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে। আমাদের লক্ষ্য হল বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর জীবনের সর্বোত্তম সূচনা নিশ্চিত করা, যাতে করে তাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি এবং পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটতে পারে।
এই লক্ষ্যগুলো পূরণের জন্য, আমরা আমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে ব্যবহার করি এবং বাংলাদেশের শিশুরা যে সব চ্যালেঞ্জের সন্মুখিন হয় সেগুলো মোকাবেলায় অংশীজনদের সাথে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, সুরক্ষা, পানি ও পযঃনিস্কাষণ এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কাজ করি।
৮টি প্রশাসনিক বিভাগের প্রতিটিতে ইউনিসেফ বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় রয়েছে। এসব কার্যালয়ের মাধ্যমে ইউনিসেফ ৬৪টি জেলাতেই তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিভিন্ন অংশীজন, দাতা, সুশীল সমাজের সাথে সম্পৃক্ত সংগঠন এবং স্থানীয় কমিউনিটি বা সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতার উপর আমাদের কাজের সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে।
ইউনিসেফের ম্যান্ডেট
শিশু অধিকার সনদের আওতায় প্রতিটি শিশুকে সুরক্ষা দিতে ইউনিসেফ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা করতে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলে আমরা কাজ করি। ১৯০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চল জুড়ে, শৈশব থেকে কৈশোর পর্যন্ত শিশুদের বেঁচে থাকা, বেড়ে ঊঠা এবং তাদের সম্ভাবনা বিকাশে সহায়তা করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমরা তাই করি৷
আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রদানকারী। এছাড়াও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিস্কাষণ, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সহিংসতা ও নির্যাতন থেকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষায় আমরা কাজ করি।
মানবিক জরুরী অবস্থার আগে, চলাকালীন সময়ে এবং পরে, শিশু এবং তাদের পরিবারের জন্য ইউনিসেফ জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করে এবং তাদের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করে। অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ, শিশুদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে আমরা কখনই নিরপেক্ষ নই।
এবং আমরা কখনই হাল ছাড়ি না।