কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা পেতে সহায়তা করবে মোবাইল অ্যাপ

- পাওয়া যাবে:
- বাংলা
- English
ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ – আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য সম্মেলনে উদ্বোধন হওয়া দুটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবা পেতে সক্ষম হবে।
ইউনিসেফ ও সুইডিশ দূতাবাসের সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চালু করা কৈশোর স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের লক্ষ্য হচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের জন্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবার সহজপ্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক বলেন, “কিশোর-কিশোরীরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে । তাদের ক্ষমতায়নে এবং বয়স-ভিত্তিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য সম্ভবপর সবকিছু আমাদেরকে করতে হবে । এই প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে বাংলাদেশে কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের প্রতিফলন ।”
বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি।। কিন্তু তারা তাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বাধার সম্মুখীন হয়। কেননা, মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে একদিকে যেমন রয়েছে সচেতনতার অভাব, অন্যদিকে কমিউনিটিতে ব্যাপক মাত্রায় প্রচলিত রয়েছে এবিষয়ক নানা নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার। আর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে, মেয়ে ও ছেলে উভয়ের জন্যই বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও অত্যাবশ্যক সেবা খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিঃ শেলডন ইয়েট বলেন, “বয়োসন্ধিকাল হলো একটি রূপান্তরের সময়যখন কিশোর-কিশোরীরা বিস্তৃত পরিসরে পৃথিবীর মুখোমুখি হয়, মুখোমুখি হয় নতুন চ্যালেঞ্জের।এই অ্যাপটি তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবে, যেসব তথ্য তারা বাবা-মা, বন্ধু এমনকি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে সাধারণত লজ্জা পেয়ে থাকে।”
কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, পুষ্টি, সহিংসতা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষামূলক ও জেন্ডার-ভিত্তিক - নির্দেশিকা ও কোর্সের পাশাপাশি কৈশর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে ও কোথায় পাওয়া যায় সে বিষয়ক তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্ল্যাটফর্মটির কথা প্রচার করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব, পিয়ার-গ্রুপ (বন্ধু-দল) এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, “এই কৈশোর স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ মেয়ে ও ছেলের জীবন উন্নত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আনন্দিত।”
###
উচ্চ রেজ্যুলেশনের ছবি ডাউনলোড করুন এখান থেকে
সম্পাদকদের জন্য নোট:
সুইডিশ দূতাবাস ও ইউনিসেফের সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর (ডিজিএফপি) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনটি ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ডিজিএফপির মহাপরিচালক শাহান আরা বানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক।
সুইডেন সম্পর্কে
বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সহযোগী সুইডেন গণতান্ত্রিক শাসন, লিঙ্গ সমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও পানি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও যৌন- প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারকে শক্তিশালীকরার ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
ইউনিসেফ সম্পর্কে
বিশ্বের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে পৌঁছাতে বিশ্বের কঠিনতম কিছু স্থানে কাজ করে ইউনিসেফ। ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সর্বত্র সব শিশুর জন্য আরও ভালো একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে আমরা কাজ করি।
ইউনিসেফ এবং শিশুদের জন্য এর কাজ সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.unicef.org.
ইউনিসেফকে অনুসরণ করুন Twitter, Facebook, Instagram এবং YouTube-এ।