রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিঃ শেলডন ইয়েটের বিবৃতি

- পাওয়া যাবে:
- বাংলা
- English
ঢাকা, ৬ মার্চ ২০২৩ – “কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে গতকাল অগ্নিকাণ্ডে আশ্রয়কেন্দ্র হারানো ১২ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী, যাদের মধ্যে অর্ধেক শিশু, তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে যারা দ্রুত ছুটে এসেছেন, আমরা তাদের সাহসী কাজের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি।
“যদিও প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি, ৬ হাজার শিশুর এখন জরুরি সহায়তার প্রয়োজন। ইউনিসেফ এবং আমাদের অংশীজনরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশু ও তাদের পরিবারকে সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানে রাতভর কাজ করেছে।
“দুটি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়েছে এবং আহত শিশু ও বড়দের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে তারা কাজ করে যাচ্ছে । একই সময়ে, আশ্রয় হারানো শিশুরা মনোসামাজিক সহায়তা পাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে, যারা হট্টগোলের মধ্যে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে।
“ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগুনে ২ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র এবং বিপুল সংখ্যক সেবাকেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। ওইসব সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে শরণার্থী শিশু ও তাদের পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করা হতো। এর মধ্যে রয়েছে ২০টির বেশি শিক্ষাকেন্দ্র, অন্তত একটি পুষ্টিকেন্দ্র এবং বেশ কিছু স্যানিটেশন স্থাপনা।
“ইউনিসেফের পরবর্তী অগ্রাধিকার হলো, এই সেবাকেন্দ্রগুলো মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করা, যাতে শিশুরা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে এবং অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি ও স্যানিটেশন সেবা পেতে পারে।
“আমরা আন্তরিকভাবে সেইসব রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে রয়েছি, যারা দেশ থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর আরও একবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।”
###
সম্পাদকের জন্য নোট:
হাই-রেস ছবি ডাউনলোড করুন এখানে
ভিডিও ডাউনলোড করুন এখানে
গণমাধ্যম বিষয়ক যোগাযোগ
ইউনিসেফ সম্পর্কে
বিশ্বের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে পৌঁছাতে বিশ্বের কঠিনতম কিছু স্থানে কাজ করে ইউনিসেফ। ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সর্বত্র সব শিশুর জন্য আরও ভালো একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে আমরা কাজ করি।
ইউনিসেফ এবং শিশুদের জন্য এর কাজ সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.unicef.org/bangladesh/
ইউনিসেফকে অনুসরণ করুন Twitter, Facebook, Instagram এবং YouTube-এ।