কোভিড-১৯ মহামারীকালে ক্ষতি সামলাতে বাবা-মায়েরা কীভাবে তাদের সন্তানদের সহায়তা করতে পারেন

করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালীন আপনার সন্তানদের ক্ষতি ও শোক কাটিয়ে উঠতে সহায়তার বিষয়ে একজন মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ

ইউনিসেফ
Bangladesh. Mother and child
UNICEF/UN0401066/Himu
27 মে 2021

আমাদের জীবনে করোনাভাইরাস রোগটি অভূতপূর্ব। স্বাভাবিকতা এবং প্রাত্যহিক নিয়মের ব্যাঘাতের জন্য বিশ্বজুড়ে মানুষ হাহুতাশ করছে। কোভিড-১৯ এর কারণে প্রিয়জনকে হারিয়ে কেউ কেউ শোক করছে। দুঃখ, ক্ষতি এবং শোক সামলানো সবার জন্যই কঠিন। তবে অল্প বয়সে প্রথমবারের মতো যেসব শিশুকে এটি মোকাবেলা করতে হচ্ছে, বিশেষত তাদের জন্য পরিস্থিতিটা অনেক জটিল।

এই কঠিন সময়ে ছোট-বড় উভয় ধরনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আপনি কীভাবে আপনার সন্তানদের সহায়তা করতে পারেন - এ বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞ মনোবিজ্ঞানী, সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক, মাসিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট এবং দুই সন্তানের মা ডাঃ লিসা ডামুরের সাথে কথা বলেছি।

 

ক্ষতি এবং শোকের মধ্যে পার্থক্য কী? 

ডাঃ ডামুর বলেন, “ক্ষতি এবং শোক দুটি বিষয়ই শক্তিশালী মানসিক অভিজ্ঞতা যা প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু উভয়কেই মর্মাহত করে এবং প্রায়শই তারা এর কারনে খুব দুঃখ অনুভব করে।

তিনি আরও বলেন, “মহামারীর আগে জীবনের ছন্দ ও প্রাত্যহিক নিয়মের মতো হারানো যেসব বিষয় আবার ফিরে আসতে পারে, সেসব বিষয়ে কথা বলার সময় আমরা ক্ষতি শব্দটি ব্যবহার করতে পারি।”

অপরদিকে, শোক বিষয়টি আরও স্থায়ী কিছু। এক্ষেত্রে তিনি বলেন, “যেমন, প্রিয়জনের মৃত্যু। এসব ক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক প্রয়োজন ভিন্ন। কারন, সেই ব্যক্তিটি চলে গেছে তা মেনে নেওয়ার পাশাপাশি সে যে আর ফিরে আসবে না তাও মেনে নেয়ার কঠিন বাস্তবতা জড়িত।”

 

শিশুরা কী প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে আলাদাভাবে ক্ষতি এবং শোক অনুভব করে?  

ডাঃ ডামুরের মতে, অনেক কিছুই আপনার সন্তানের বয়সের উপর নির্ভর করবে। তাঁর মতে, “ক্ষতি ও শোক উভয় ক্ষেত্রেই কী ঘটেছে তা নিয়ে খুব ছোট শিশুরা বিভ্রান্ত হতে পারে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা বুঝতে পারে না যে, তারা কেন স্কুলে যায় না এবং কেন তাদের বাবা-মা বাড়িতে থাকে। মৃত্যুর ক্ষেত্রে, মৃত্যু কী তা আসলে তারা বুঝতে পারে না বা এটি যে স্থায়ী প্রস্থান এটাও তারা বুঝতে পারে না। একেবারে ছোট শিশুরা তাদের জীবনে কেবল নাটকীয় পরিবর্তনগুলোই মোকাবেলা করছে না বরং এই পরিবর্তনগুলো কেন ঘটেছে তা তারা প্রায়শই পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারে না।”

ছয় থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিষয়টা আলাদা। ডাঃ ডামুরের মতে, “তারা প্রায়শই এগুলোর ব্যাখ্যার জন্য খুব আগ্রহী থাকে। যেসব বিষয় তারা মোকাবেলা করছে বা প্রিয়জনের মৃত্যুর মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা কেন ঘটেছে তা বোঝার জন্য তারা প্রস্তুত থাকে। এবং তারা যা জানতে চায় কখনও কখনও তাদেরকে আমরা সেগুলোর উত্তর দিতে পারি এবং কখনও কখনও উত্তরগুলো আমরা নিজেরাও জানি না - এবং এ বিষয়টি তাদের জন্য খুব কঠিন হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “শিশু-কিশোরদের জন্য প্রক্রিয়াটি বেশ গভীর। কারণ কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে আবেগ খুব শক্তিশালী হতে পারে। স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত ভেবে তারা অনেক সময় তাদের পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টা ভুলে যায় বা চিন্তা করে না - তীব্র দুঃখের এমন মুহুর্তগুলোতে অনেক সময় তাদেরকে আশ্বস্ত করার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ তারা সঠিকভাবে সাড়া পাচ্ছে না - এই ভেবে কিশোর-কিশোরীরা উদ্বিগ্ন হতে পারে।

 

এই আবেগগুলো মোকাবেলা করতে আমি আমার সন্তানকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

সকল বয়সের শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সৎ হতে হবে। তবে, ছোট শিশুদের সাথে বিশেষভাবে পরিষ্কার হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। তাঁর মতে, “পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা শ্রুতিমধুর নয়, বরং খুব স্পষ্ট, সহজ-সরল ব্যাখ্যা আশা করে। আমরা কাউকে ‘হারিয়েছি’, এমনটি আমরা শিশুদের বলতে পারি না। কারন, এতে করে আমরা কী বলতে চাইছি সেটা তারা নাও বুঝতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে উষ্ণতার সাথে এবং নরমভাবে এভাবে বলা অধিক কার্যকর হবে: ‘তোমার সাথে ভাগাভাগি করার জন্য কিছু দুঃখজনক খবর আছে। তোমার দাদু/নানা মারা গেছেন। তার অর্থ হ’ল তার শরীর আর কাজ করছে না এবং আমরা তাকে আর দেখতে পাবো না’। বাবা-মার পক্ষে এ জাতীয় সরাসরি যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে সততা ও স্বচ্ছতা জরুরি। কারণ কারও মৃত্যুর বিষয়টি বুঝিয়ে বলা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু কী ঘটেছে সেটা নিয়ে যদি আপনি সত্যিই বিভ্রান্ত থাকেন, তবে এটি হবে আরও কঠিন।”

 

আমি আমার নিজের বাবা-মাকে হারিয়ে নিজেই শোক করছি। আমি এখন আমার সন্তানকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে ডাঃ ডামুর বলেন, “বড়রা শোক করছে এটি শিশুদের দেখা খুব একটা খারাপ না। প্রিয়জনের ‍মৃত্যুতে আমাদের দুঃখ পাবার বিষয়টি সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিক্রিয়া দেখানোরই অংশ। এমনকি আবেগ যতই বেদনাদায়ক হোক না কেন, একটি কঠিন অনুভূতিকে বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নেবার উপায় শিশুদেরকে দেখানোও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

যদি শোকটি প্রবল হয়, তবে আপনার সন্তান যেন ভীত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, “সন্তানের সামনে দুঃখী না হয়ে আপনার স্বাচ্ছন্দ্য হওয়া উচিত। তবে, আপনার শোক যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, সেক্ষেত্রে আপনার সন্তান থেকে আপনার শোককে আলাদা করার চেষ্টা করুন বা আপনার সন্তানকে এমনভাবে সহায়তা করুন যাতে সে আপনার আবেগ দেখে অভিভূত বা আতঙ্কিত হয়ে না যায়।”

 

আমার সন্তান যখন প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোক করছে তখন আমি কী আশা করতে পারি?

ডাঃ ডামুরের মতে, “কাছের কাউকে হারানোর ক্ষেত্রে অবিশ্বাস বা ধাক্কা খাওয়া ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু বা কিশোর-কিশোরীদের জন্য মোটেই অস্বাভাবিক নয়। এমনকি এটি ভুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াও রয়েছে যা নিজেকে রক্ষার জন্য স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি। এটি নিজের মনকে খুব বেদনাদায়ক সংবাদ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়।” নিজেকে রক্ষা করার বিষয়টি ফিরে আসে, আবার চলেও যায়। অনুভূতির তীব্র ঢেউয়ের মাধ্যমে এগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে। তরুণদের অনেক সহানুভূতি এবং প্রচুর ধৈর্য প্রয়োজন। তাদের আবার এগুলো প্রাপ্যও বটে। কারণ প্রিয়জনের মৃত্যুতে তারা তাদের মনকে গুটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।”

ডাঃ ডামুর আরও বলেন, “অল্প বয়সী শিশুরা কখনও কখনও বেশ প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে, আঁতকে ওঠে বা তাদের বেড়ে উঠার জন্য প্রয়োজন এমন কিছু হারাতেও পারে (যেমন, ঘুমের সময়সূচি বা টয়লেট করার নিয়মানুবর্তিতা)।যারা তাদের  জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল, তারা তাদের সেই প্রিয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছে। নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে আমরা আরও বেশি কিছু করতে পারি। আর কী ঘটেছিল তা বুঝতে এবং সময়ের সাথে এটির অর্থ কী হতে পারে সেই সব গুরুত্বপূর্ণ কাজের দিকে মনোনিবেশ করতে এসব তাদেরকে সহায়তা করে।” 

 

আমার সন্তান হতাশায় কবলে পরতে পারে ভেবে আমি উদ্বিগ্ন। এর লক্ষণগুলো কী হতে পারে?

ডাঃ ডামুর ব্যাখ্যা করেন, “ক্ষতি এবং শোক উভয় অভিজ্ঞতাই অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কোনও শিশু যথাযথভাবে বিষয়গুলো সামলাচ্ছে কিনা এবং কখন সে উদ্বিগ্ন তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। সকল বয়সের শিশু ও তরুণরা বেদনাদায়ক অনুভূতিগুলো যদি নেতিবাচকভাবে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করে, তখন লক্ষ্য করবেন যে তারা দিনের পর দিন নিজেকে কোনও কিছু থেকে গুটিয়ে রাখছে, কিছু কিছু পদার্থের অপব্যবহার করছে যেমন মাদকাসক্তি, নিজের প্রতি যত্ম নিচ্ছে না বা বেঁচে থাকার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে। তখনই অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন হবার সময়।”

তিনি আরও বলেন, “হতাশা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। যদি সন্তানের মেজাজ একসাথে কয়েক দিনের জন্য খারাপ বা খুব বিরক্ত থাকে সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মনোযোগ দেওয়া উচিত। এই দুঃখ মাঝে মাঝে খুব তীব্র হবে, আবার চলেও যাবে। যদি কোনও শিশু বা কিশোর-কিশোরীর খামখেয়ালীপনার অবসান না হয়, তবে হতাশার সম্ভাবনা সম্পর্কে আমদের উদ্বিগ্ন হতে হবে। যদি কোনও শিশুকে হতাশাগ্রস্ত মনে হয়, তবে পরামর্শের জন্য বাবা-মাকে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ, পরিবারিক চিকিৎসক, বা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। বলা হয়ে থাকে, আমরা যখন আমাদের কোনও প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলি, তখন শোক কাটিয়ে ওঠার প্রক্রিয়া সহজ নাও হতে পারে। আর এ বিষয়টি উপলব্ধি করা জরুরি।”

 

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলো মিস করার কারণে আমার সন্তানের ক্ষতি হচ্ছে। তাকে আমার কী বলা উচিত?

ডাঃ ডামুর বলেন, “করোনভাইরাস রোগটি শিশুদের স্বাভাবিক জীবনকে কীভাবে ব্যাহত করেছে সে সম্পর্কে তাদের বিচলিত হওয়ার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষতি তাদের কাছে অনেক বড় মনে হয়। কারণ এই ক্ষতি তাদের জীবনের একটা বড় অংশ কেড়ে নিয়েছে যা তারা তাদের জীবিতাবস্থায় মনে রাখে। যদিও আমরা এটি আমাদের জীবনকাল এবং অভিজ্ঞতার আলোকে পরিমাপ করছি। আমরা প্রাপ্তবয়স্করা যেভাবে তাদেরকে সাহায্য করতে পারি তা হলো তাদের মন খারাপ করতে দেয়া এবং একই সাথে তাদের মন খারাপের কারনগুলির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। তাদের জীবনের যেসব অনুসঙ্গ বাতিল হতে দেখছে তার বেশিরভাগই তাদের জীবনে একবারই ঘটে। এমনকি আমরা বড়রাও একে তেমন বর করে দেখিনা।  এগুলো এমন ঘটনা যার জন্য শিশুরা বছরের পর বছর না হলেও মাসের পর মাস অপেক্ষা করে।”    

>> আপনার সন্তানকে কোভিড-১৯ সম্পর্কে বুঝতে এই বইটি সাহায্য করবে।  

 

আমরা কেন এখনও ঘরে বসে আছি তা বুঝতে আমার সন্তানের খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি তার কাছে বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি?

ডাঃ ডামুর ছোট শিশুদের কাছে একটি বিষয় উল্লেখ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, “এটা বলা সহায়ক হতে পারে: ‘তোমার যখন ঠান্ডা লাগে তখন তোমার কারণে অন্য শিশুরা যেন অসুস্থ না হয়, সেজন্য তখন তোমাকে স্কুলে না পাঠিয়ে বাড়িতে রাখা হয় কেন সেটা তুমি জানো? আসলে এখনকার বিষয়টা এরকমই। কিন্তু, এটা একটি ভাইরাস। এটি ঠান্ডার চেয়েও বেশি ভয়ংকর। এ কারণে আমরা যাতে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত না হই, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা ঘরেই থাকি। এছাড়াও, এটি দ্বারা যাতে অন্য কেউ আক্রান্ত না হন সেটা নিশ্চিত করতেও ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাড়িতে থাকেন।’”   

সকল বয়সের শিশুদের জন্যই তাদের বন্ধুদের মিস করা খুব স্বাভাবিক। যদিও এই মুহুর্তে তারা কেন তাদের বন্ধুদের সাহচর্য পাচ্ছে না সে সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের আরও ভাল ধারণা থাকতে পারে, তবে ছোট শিশুদের জন্য বিষয়টি বুঝতে বেশ কষ্ট হতে পারে। এক্ষেত্রে ডাঃ ডামুর আংশিক সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাবা-মা বলতে পারেন: ‘আমি জানি এখন তুমি তোমার বন্ধুর সাথে সরাসরি দেখা করতে চাও। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত এটা সম্ভব হচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি কি তাকে একটি চিঠি লিখতে পারো যা আমরা তার ডাকবাক্সে পাঠিয়ে দিতে পারি।”

তিনি আরও বলেন, “‘নিউ নর্মাল’ শব্দবন্ধটি বেশ কার্যকর। কারণ এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের যা ছিল তা আমরা পুনরায় তৈরি করার চেষ্টা করছি না, কারন আমরা এটি করতে পারবোও না। এটি এমন একটি মুহুর্ত যেখানে আমাদের সৃজনশীল হতে হবে এবং জীবনে এমন একটি আঙ্গিক নিয়ে আসতে হবে যা শিশুদের কিছুটা আশা-ভরসা দেয়, মজা করার জন্য সময় দেয়, নিজেকে যত্ম নেবার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়, যেখানে বিকাশের এবং শেখার সুযোগ থাকে এবং কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট সীমাবদ্ধতার মধ্যেও উপরের সকল কাজ করে।”

 

>> কোভিড-১৯ সম্পর্কে আপনার সন্তানের সাথে কীভাবে কথা বলবেন

>> তথ্য নিন: বাবা-মার জন্য আমাদের করোনভাইরাস রোগ সম্পর্কিত ব্যাখ্যা পড়ুন

 


ম্যান্ডি রিচ-এর সাক্ষাৎকার এবং নিবন্ধ, ডিজিটাল কনটেন্ট লেখক, ইউনিসেফ,

এই নিবন্ধটি মূলত ২০২০ সালের ৪ জুন তারিখে প্রকাশিত হয়েছিল। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৪ অগাস্টে এটি আপডেট করা হয়েছিল।