রোহিঙ্গা সংকটের ছয় বছর
২০১৭, আগস্টের শেষ দিকে মিয়ানমারে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে লাখ লাখ আতঙ্কিত রোহিঙ্গা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। নিজেদের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্বল, লোকালয় পেছনে ফেলে অনেকে মাছ ধরার নৌকায় গাদাগাদি করে উঠে বাংলাদেশে চলে আসে। বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ তখন তাদের কাছে কোনো বিষয় হয়ে দাঁড়ায়নি। Rohingya children and families Rohingya children and…, ২০১৮, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে শুরু করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ নাগাদ আনুমানিক সাত লাখ ২০ হাজার মানুষ বাংলাদেশে চলে আসে । বিপুল সংখ্যক এই মানুষ আসার কারণে মানবিক সহায়তার জরুরি প্রয়োজন দেখা দেয় । খালি হাতে আসা রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর টিকে থাকার উপায় ছিল সহায়তা হিসেবে পাওয়া পানি, খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। দেশান্তরী মানুষের এই ঢলে রোগের প্রাদুর্ভাবের…, কক্সবাজারে ইউনিসেফ-সমর্থিত শিশুবান্ধব স্থানে ছবি-বিনিময়ের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা শিশুরা দেয়ালে আঁকছে।, UNICEF/UN0213498/Sokol Rohingya children learnt at Learning Centre. UN0215019.jpg, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুরা কক্সবাজারের বালুখালী ক্যাম্পের একটি শিশুবান্ধব জায়গায় খেলছে।, UNICEF/UN0215019/Sokol Rohingya children painted on the wall. Bangladesh Rohingya children learnt at Learning Centre., ২০১৯, জরুরি পরিস্থিতিতে শিশুরা তাদের প্রিয়জন ও ঘর-বাড়ি হারায়। তারা বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য সেবা ও খাবার পায় না। তারা নিরাপত্তার অভাবে ভোগে; প্রতিদিন যেন তাদের জন্য এক নতুন যুদ্ধ । শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। শরণার্থী সংকটের শুরু থেকে নতুন আসা লাখ লাখ শিশুকে স্কুলে ভর্তি করাটা ছিল ইউনিসেফ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে এর…, কক্সবাজার জেলার উখিয়ার কোর্ট বাজারের একটি দোকানে একটি মেয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।, UNICEF/UN0284148/LeMoyne Rohingya adolescent boys attending the vocational training programme. Bangladesh UN0284149.jpg, কক্সবাজার জেলার কোর্ট বাজারের একটি দোকানে কিশোর ছেলেরা কাঠের নকশার কাজ শিখছে।, UNICEF/UN0284149/LeMoyne Rohingya adolescent girls attending vocational training programme. Bangladesh Rohingya adolescent boys attending the vocational training programme. Bangladesh, ২০২০, অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস করত পাতলা বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি করা ছাউনির ভেতরে , যেখানে তাদের প্রতিটা দিন কাটত বিপদের আশংকায়। সেখানে সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও ছিল অনেক বেশি। কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে লোকজন পরিবারগুলোকে নিরাপদ রাখতে অনেক পূর্ব সতর্কতা মেনে চলা শুরু করে, যার মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার বিষয়ও ছিল। কিন্তু…, ২০২১, আগে থেকেই বিভিন্ন সমস্যাকবলিত রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে কোভিড-১৯। মিয়ানমারে থাকার সময় অনেক রোহিঙ্গা শিশু স্কুলে যেতে পারত না। সে কারণে আগে থেকেই এই শিশুদের শিক্ষার অবস্থা ছিল বেশ শোচনীয় । দেশজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকায় রোহিঙ্গা শিবিরের শিক্ষা কেন্দ্রগুলো তখনও বন্ধ, সে সময় ইউনিসেফ ঘরেই শিশুদের শিক্ষা চালিয়ে…, ২০২২, এ বছর মে মাসে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ মিয়ানমারের জাতীয় পাঠ্যক্রমে লেখাপড়ার জন্য ১০ হাজার তম শিশু নাম লেখায়। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা যায় যা তাদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করে। । ইউনিসেফ ও এর অংশীদারেরা ২০২১ সালের শেষ দিকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমে লেখাপড়া চালু করে। এটা ছিল…, ২০২৩, রোহিঙ্গা সংকট নতুন বছরে পদার্পণ করার সাথে সাথে, শরণার্থী শিশুরা চেনা-আচেনা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে থাকে । মার্চে আগুন লেগে হাজার হাজার শরণার্থী গৃহহীন হয়ে পড়ে। দেশ থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১২ হাজার শরণার্থীরা আবারও গৃহহীন হয়ে পড়ে। In March, thousands of refugees lost their homes as a fire raged. UN0798767.JPG UNICEF/UN0798767/…