কোভিড -১৯ কালে স্কুলে ফেরার ক্ষেত্রে আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সহায়তা

স্কুল পুনরায় খোলার সময় সন্তানদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রনে বাবা-মা কীভাবে সহায়তা করতে পারে

ইউনিসেফ
Bangladeshi student
UNICEF Bangladesh/2021/Sujan
16 সেপ্টেম্বর 2021

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দৈনন্দিন জীবনে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করেছে এবং শিশুরা এসব পরিবর্তন গভীরভাবে অনুভব করছে। স্কুলে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি শিশুদের জন্য শুধু আনন্দেরই নয়; বরং অনেক শিক্ষার্থীর জন্য এটি উত্তেজনাপূর্ণও বটে। তবে, কিহু কিছু শিশুর জন্য বিষয়টি আবার উৎকণ্ঠা ও ভীতির সৃষ্টি করে। পুনরায় স্কুল শুরু করার সময় আপনার শিশু যেসব জটিল অনুভূতির মুখোমুখি হতে পারে সেগুলো পাড়ি দিতে তাদেরকে সহায়তা করার জন্য এখানে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

আমার সন্তান স্কুলে ফিরে যেতে ভয় পায়। সে যেন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সেজন্য আমি তাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

শুধুমাত্র বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময়ই নয়, এমনকি সাধারণ সময়েও স্কুল শুরু করা বা নতুন শিক্ষা বছর শুরু করা শিশুদের মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। যে বিষয়টা আপনার সন্তানকে উদ্বিগ্ন করতে পারে সে বিষয়ে খোলাখুলি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তার মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনতে পারেন। এছাড়াও উদ্বিগ্ন হওয়াটা তার জন্য যে স্বাভাবিক, সে বিষয়টি তাকে জানাতে পারেন।

শিশুরা যেহেতু কয়েক মাস ধরে বাড়িতে পড়াশোনা করছে, সেহেতু পুনরায় স্কুলে যেতে তারা উদ্বিগ্ন বোধ করতে পারে বা তারা স্কুলে নাও যেতে চাইতে পারে। সত্য বিষয়টি হলো, স্কুলে যেসব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হতে পারে, তাতে তারা কিছু পরিবর্তন প্রত্যাশা করতে পারে। যেমন, তাদের মাস্কের মতো প্রতিরক্ষামূলক কিছু পোশাক পরার প্রয়োজন হতে পারে। স্কুলে থাকাকালীন উপস্থিত বন্ধুদের এবং শিক্ষকদের থেকে শারীরিকভাবে দূরে থাকার বিষয়টিকে শিশুরা কঠিন বলে মনে করতে পারে। একত্রে না থেকেও সংযুক্ত থাকার বিভিন্ন উপায় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে আপনি শিশুদেরকে উৎসাহিত করতে পারেন।

শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সুস্থ রাখতে সহায়তা করার জন্যই যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলি গৃহিত হয়েছে তা সম্পর্কে শিশুদেরকে আশ্বস্ত করুন। এছাড়াও শিশুদেরকে মনে করিয়ে দিন যে, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় কনুই দিয়ে ঢেকে রাখার মাধ্যমে তারা জীবাণুর বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

স্কুলের ইতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে শিশুদের মনে করিয়ে দিন। তাদেরকে মনে করিয়ে দিন যে, স্কুলে গেলে তারা তাদের বন্ধু এবং শিক্ষকদের দেখতে পাবে (যদি তারা শ্রেণীকক্ষে সরাসরি ফিরে যায়) এবং নতুন জিনিস শিখতে পারবে।

 

সুরক্ষামূলক পোশাক পরিধান করার ব্যাপারে আমার সন্তানের স্কুল সুপারিশ করছে। এটি আমার সন্তানকে আরও বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলছে। তাকে আমার কী বলা উচিত?

সহানুভূতির সাথে এই আলাপ-আলোচনাগুলো চালিয়ে যান। আপনার সন্তানের সাথে কথা বলার সময় আপনি তাকে বলুন যে, করোনাভাইরাস নিয়ে সে যে উদ্বিগ্ন বোধ করছে সেটা আপনি জানেন। তাকে এও বলুন যে, উদ্বেগ এবং আবেগ সম্পর্কে কথা বলার ব্যাপারটিও তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর। বিশেষত দৌঁড়ানো বা খেলার সময় মাস্ক পরার বিষয়টিকে শিশুরা যদি অস্বস্তিকর বলে মনে করে, সেক্ষেত্রে তারা বিরক্ত বা হতাশ হতেই পারে। আপনি আপনার সন্তানকে আশ্বস্ত করতে পারেন যে, প্রাপ্তবয়স্কদের অনেকেই আপনার পরিবারকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। তবে, আমাদের কমিউনিটির অপেক্ষাকৃত দুর্বল সদস্যদের যত্ন নেয়ার জন্য প্রস্তাবিত ব্যবস্থাগুলো অনুসরণ করা যে গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়টি আপনার সন্তানকে জোর দিয়ে বলুন।

 

আতংকিত না করে আমি কীভাবে আমার সন্তানকে স্কুলে সাবধানতা অবলম্বন (যেমন, ঘন ঘন হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি) করতে উৎসাহিত করতে পারি? 

কোভিড -১৯ এবং অন্যান্য রোগ থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখার অন্যতম সেরা উপায় হলো নিয়মিত হাত ধোয়াকে উৎসাহিত করা। এই আলাপ-আলোচনা যেন ভীতিকর না হয়। শেখার বিষয়টিকে মজাদার করতে তাদের পছন্দের গানের সাথে তাল মিলিয়ে গান করুন অথবা একসাথে নাচতে নাচতে শেখান। জীবাণুগুলো অদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও সেখানে বিরাজ করতে পারে - এমন বিষয় সম্পর্কে তাদেরকে শেখানো নিশ্চিত করুন। কেন তাদের হাত ধোয়া দরকার - এ বিষয়টি শিশুরা যখন বুঝতে পারবে, তখন তারা হাত ধোয়ার অভ্যাসটি চালিয়ে যেতে আগ্রহী হবে।

কনুই দিয়ে কীভাবে কাশি বা হাঁচি ঢেকে রাখা যায়, সে বিষয়টি আপনি আপনার সন্তানকে দেখাতে পারেন। এছাড়াও, তারা যদি জ্বর অনুভব করে, তাদের যদি কাশি হয় বা শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে তারা মনে করতে শুরু করে, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আপনাকে অবশ্যই বলতে বলুন।

>> হাত ধোয়া সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার তা পড়ুন 

 

আমার সন্তানের যে বন্ধুদের সাথে বেশি সখ্যতা তারা একই দলে না থাকার কারণে সে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন বোধ করছে। আমার সন্তান শ্রেণীকক্ষে এবং তার বন্ধুদের সাথে কীভাবে আরো সংযুক্ত থাকতে পারে?

আপনার সন্তানের স্কুল যদি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে, তবে আপনার সন্তান তার বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হতে পারে। সরকারীভাবে স্কুল খোলার ঘোষণা হবার পরে স্কুলগুলো কখন এবং কীভাবে খোলা হবে সে বিষয়ে আপনার সন্তানেকে জানান এবং স্কুলে ফেরার জন্য প্রস্তুত হতে তাকে সহায়তা করুন।

স্কুলগুলোকে আবার বন্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে, এমন তথ্য সময়ের আগে ভাগে আপনার সন্তানকে জানিয়ে দিন। পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাওয়াতে আগামীতে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সে বিষয়টিতে প্রস্তুত থাকতে এটি তাদেরকে সহায়তা করবে। স্কুলে এবং বাড়িতে যে কোনও জায়গায় শেখা সম্ভব - এ বিষয়টি তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।

যেসব শিশুর ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, অনলাইন গেমস, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ভিডিও চ্যাট প্রোগ্রামগুলোর নিরাপদ এবং পর্যবেক্ষণকৃত ব্যবহার শিশুদের বাড়িতে থাকার সময় তাদের বন্ধুদের, বাবা-মা এবং আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ, শেখার ও খেলার দুর্দান্ত সুযোগ প্রদান করতে পারে। এছাড়াও আপনি আপনার সন্তানদের সাথে তাদের মতামত নিয়ে সরাসরি আলাপ-আলোচনা করতে এবং এই সংকটের সময় প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য অনলাইনে তাদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে পারেন।

অনলাইন ব্যায়ামের ভিডিও এবং শারীরিক চলাফেরার জন্য প্রয়োজনীয় ভিডিও গেম যা শিশুদের শারীরিক চলাফেরায় সহায়তা করে, আপনার সন্তানকে এমন ডিজিটাল সরঞ্জামের সুবিধা নিতে উৎসাহিত করতে পারেন। অনলাইন বিনোদনের সাথে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য, সম্ভব হলে বাইরের সময়ের সাথে সমন্বয় করার বিষয়টি মনে রাখবেন।

>> কোভিড -১৯ মহামারী চলাকালীন শিশুদের শিখতে সহায়তা করে এমন ৫ টি উপায় শিখুন 

 

আমার সন্তান কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছে সেটা আমি কীভাবে যাচাই করতে পারি?

শিশুদের সাথে আলাপের সময় শান্ত এবং সক্রিয় হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তারা কেমন করে সব সামলাচ্ছে তা তাদের মুখ থেকেই শুনুন। তাদের আবেগ নিয়মিত হেরফের হবে এবং সেটাও যে ঠিক আছে, সে বিষয়টি আপনাকে তাদেরকে আশ্বস্ত করতে হবে।

একটি নিরাপদ এবং সহায়ক পরিবেশে শিশুদের নেতিবাচক অনুভূতিগুলো প্রকাশে এবং যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে স্কুলে হোক কিংবা বাড়িতে, পরিচর্যাকারীরা শিশুদের খেলা ও আঁকাসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত করতে পারেন। এটি রাগ, ভয় বা দুঃখের মতো কঠিন অনুভূতি প্রকাশের ইতিবাচক উপায় খুঁজে পেতে শিশুদের সাহায্য করবে।

যেহেতু শিশুরা বাবা-মা এবং শিক্ষকদের মতো নিকটতম প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে প্রায়শই তাদের মানসিক সংকেত নেয়, সে কারণে প্রাপ্তবয়স্করা যাতে তাদের নিজেদের আবেগকে ভালভাবে পরিচালনা করে ও শান্ত থাকে, শিশুদের উদ্বেগগুলোকে মনোযোগ দিয়ে শোনে, বিনয়ের সাথে কথা বলে এবং তাদেরকে প্রিতিনিয়ত আশ্বস্ত করে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

>> কোভিড -১ ৯  মোকাবিলায় কীভাবে আপনার পরিবারের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে আরও পড়ুন 

 

আমার সন্তানের স্কুল পুনরায় শুরু করার জন্য আমার কি কিছু করা উচিত?

স্কুল পুনরায় শুরু করার সময় আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা  ও তার শিক্ষণ দক্ষতা যাচাই করার পাশাপাশি তার মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলোর দিকেও নজর রাখা উচিত। আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোভিড-১৯ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিষয়টি যে একেবারে স্বাভাবিক এবং মাঝে মাঝে সে ভারাক্রান্ত বোধ করতে পারে এবং এগুলো অস্বাভাবিক কিছু না সে বিষয়টি তাদেরকে বোঝানো জরুরি। যখনই কোন সন্দেহ হবে, তখন সহানুভূতি এবং সমর্থনই হচ্ছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ।

কোভিড -১৯ বিষয়ে কিছু ভুল তথ্যের কারণে নতুন করে শিশুদের স্কুলে যাবার সময় সামাজিক কলঙ্ক তথা বিভিন্ন ধরনের হয়বানির ঘটনা বাড়তে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে। ভাইরাসটি কার মতো দেখতে, কোথায় থেকে এসেছে বা কোন ভাষায় কথা বলে তার সাথে ভাইরাসটির কোন সম্পর্ক নেই। এইবিষয়গুলো আপনার সন্তানকে ব্যাখ্যা করা উচিত। স্কুলে যদি তাদের কোন অপমানজনক নামে ডাকা হয় বা তাদেরকে হয়রানি করা হয়, তখন বিষয়টি যেন তারা তাদের একজন বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্ককে বলে, সে বিষয়ে শিশুদেরকে জানানো উচিত। আপনার সন্তানকে মনে করিয়ে দিন যে, স্কুলে এবং অনলাইনে প্রতিটি শিশুরই নিরাপদ থাকার অধিকার রয়েছে। হয়বানি করার বিষয়টি কোনো সময়ই ভালো নয় এবং আমাদের প্রত্যেকের উচিত একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সদয় হওয়া।

 

স্কুলে এবং অনলাইনে হয়রানি বিষয়ে আমার সন্তান বেশ উদ্বিগ্ন। সেক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে আমি কীভাবে তাদের সাথে কথা বলতে পারি?  

ব্যক্তিগতভাবে বা অনলাইনে হয়রানি সম্পর্কে যদি আপনার সন্তান উদ্বিগ্ন হয়, সেক্ষেত্রে তারা যে একা নয় এবং যে কোনো সময় তারা আপনার বা অন্য কোন বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্কের সাথে কথা বলতে পারে, সে বিষয়টি তাদেরকে জানানো জরুরি ।

হয়রানি বিষয়ে আপনি যত বেশি আপনার সন্তানদের সাথে কথা বলবেন, হয়রানির ঘটনা দেখলে বা তারা হয়রানির শিকার হলে, বিষয়টি আপনাকে বলতে তারা ততটাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। আপনার সন্তানের সাথে প্রতিদিন বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন। স্কুলে সময় কেমন কাটছে এবং অনলাইনে তাদের কার্যক্রম ও সার্বিক বিষয়ে তাদের অনুভূতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। কোনো কোনো শিশু হয়তো তাদের আবেগ মৌখিকভাবে প্রকাশ করে না। তাই কোনো সমস্যাকে ইঙ্গিত করে তাদের এমন উদ্বেগজনক বা আক্রমণাত্মক আচরণের দিকেও নজর দেওয়া উচিত।

অনলাইনে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে সম্পর্কে উন্মুক্ত ও  আন্তরিক আলাপ-আলোচনায়  আপনার সন্তানকে যুক্ত করা উচিত। আপনার সন্তান কার সাথে এবং কীভাবে যোগাযোগ করে সে সম্পর্কে তাদের সাথে খোলামেলা  কথা বলুন। আপনার সন্তান যেন আন্তরিক ও সহায়ক আলাপের মূল্য বোঝে - সে বিষয়টি নিশ্চিত করুন। এর অর্থ হলো, বৈষম্যমূলক বা অনুপযুক্ত সংযোগ কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার সন্তান যদি এগুলোর কোনো একটি অনুভব করে, তাহলে তাদের কথাগুলো অবিলম্বে আপনাকে বা একজন বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্ককে বলতে উৎসাহিত করুন। যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে, আপনার সন্তান নিজেকে কোনো কিছু থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বা কোনো কিছুতে সে বিচলিত হচ্ছে, অথবা যেকোনো ডিভাইস স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি ব্যবহার করছে, তাহলে ধরে নিতে হবে অনলাইনে তাদেরকে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে।

আপনার সন্তানের স্কুলের সুরক্ষা ও হয়রানি সম্পর্কির্ নীতির পাশাপাশি উপযুক্ত রেফারেল প্রক্রিয়া এবং হেল্পলাইনের সাথে নিজেকে পরিচিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।

>> কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবকালীন বাড়িতে থাকার সময় অনলাইনে আপনার সন্তানকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সে সম্পর্কে আরও পড়ুন

>> সাইবারবুলিং: এটা কী এবং কীভাবে এটাকে রোধ করা যায়


উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো নিতে সরকারকে সহায়তা করার জন্য ইউনিসেফ সরকারের সাথে কাজ করে চলেছে। স্কুল পুনরায় চালু করার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেস্কো এবং বিশ্বব্যাংকের সাথে মিলে আমরা নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছি। এসব নির্দেশিকা ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, আরবি, চীনা এবং পর্তুগিজ ভাষায় এখানে পাওয়া যায়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মী ও তাদের পরিবারের সুরক্ষার জন্য যে প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করা উচিত এবং স্কুল পুনরায় খোলার আগে, খোলার সময় এবং খোলার পরে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া উচিত এই নির্দেশিকাতে সেসব প্রশ্ন সম্পর্কে বলা হয়েছে।

এই নিবন্ধটি মূলত ১৬ জুন ২০২০ প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ এটি ২৮ আগস্ট ২০২০ আপডেট করা হয়েছে।