বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয়শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত

ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি`র বিবৃতি

22 মার্চ 2021
Bangladesh. A devastating fire in the Rohingya camps, Cox's Bazar
COAST Trust/2020/Md Ilias Mia

ঢাকা, ২২ মার্চ ২০২১ – “বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী আশ্রয়শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি ইউনিসেফ গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে”। এই অগ্নিকাণ্ডে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শরণার্থী আশ্রয়শিবিরগুলোতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শরণার্থী আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে অনেক মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে, দুর্যোগের পুরো চিত্র সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শিশু এবং তাদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ও জরুরি সহায়তা দিতে ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সহযোগীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছে। ইউনিসেফ আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে শরণার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়েছে।

যদিও গভীর রাত অবধি পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে, তবে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে এবং অনেক শিশু তাদের পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শিশুসহ অন্যান্য শিশুদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করার জন্য ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তারা এবং আমাদের সহযোগী সংস্থাগুলো কাজ করছে। আমাদের সহযোগীরা জরুরী সামগ্রী এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং মানবিক কর্মীদের সুরক্ষায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যে সব স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সামনের সারির মানুষজন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, ইউনিসেফ তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।

জাতিসংঘ এবং এনজিও কমিউনিটির সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, প্রাথমিক সহায়তা প্রদানকারী এবং সহযোগী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে শিশুদের তাৎক্ষণিক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা প্রদান করাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।

ছবি ও ভিডিও ডাউনলোড করুন এখানে

গণমাধ্যম বিষয়ক যোগাযোগ

ফারিয়া সেলিম
ইউনিসেফ বাংলাদেশ
টেলিফোন: +8801817586096
ই-মেইল: fselim@unicef.org

ইউনিসেফ সম্পর্কে

প্রতিটি শিশুর অধিকার ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বিশ্বের ১৯০ টি দেশে কাজ করছে ইউনিসেফ। সকল বঞ্চিত শিশুদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা কাজ করি বিশ্বের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে।

আমাদের কাজ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন: www.unicef.org.bd

ইউনিসেফের সাথে থাকুন: ফেসবুক এবং টুইটার