ইউনিসেফ: বিশ্ব শিশু দিবসে বাংলাদেশে খবর ও খেলাধুলা শিশুদের নিয়ন্ত্রণে

- পাওয়া যাবে:
- বাংলা
- English
ঢাকা, ২০ নভেম্বর ২০২২ – আজ বিশ্ব শিশু দিবসে শিশুরা সহ-উপস্থাপক হিসেবে সন্ধ্যা ৭টার সংবাদ উপস্থাপনা করার জন্য এটিএন বাংলা নিউজ স্টুডিওর নিয়ন্ত্রণ নেবে। ১১ বছর বয়সী আনিশা আমিন সংবাদ পরিবেশন করবে এবং ৯ বছর বয়সী রুহি স্টুডিওতে ক্যামেরা চালাবে।
এই ‘কিড্স টেকওভার’ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ সনদ গ্রহণের বার্ষিকী উদযাপন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে থাকা একটি মূল ধারণা হলো, শিশুরা কেবল তাদের পিতামাতার অধীনস্ত কোনো বস্তু নয় যাদের হয়ে অন্যরা সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। বরং তারা তাদের নিজস্ব অধিকার সম্পন্ন আলাদা ব্যক্তিসত্ত্বার অধিকারী।
সনদ বলে যে, শৈশবকাল পরিণত বয়সের চেয়ে আলাদা একটি সময় এবং এটি শিশুর ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি একটি বিশেষ এবং সুরক্ষিত সময়, যখন শিশুদের অবশ্যই বেড়ে ওঠার, শেখার, খেলার, উন্নতি করার এবং মর্যাদার সঙ্গে বিকাশ লাভ করার সুযোগ দিতে হবে। সনদটি ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি এবং শিশুদের জীবন পরিবর্তনের জন্য একটি স্তম্ভ হয়ে আছে।
সারা বিশ্বে আজ ইউনিসেফ এমন শিশুদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে যারা স্কুলে না যাওয়া, অরক্ষিত ও ছিন্নমূল শিশুদের পক্ষে কথা বলতে গণমাধ্যম ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে।
"আমি সবসময় টিভির সামনে বসে খবর দেখতাম; কিন্তু আজ সারা দেশ আমার কথা শুনবে। আমি চাই- শুধু বিশ্ব শিশু দিবসে নয়, প্রতিদিনই সব শিশুর কথা শোনা হোক," বলে ১১ বছর বয়সী আনিশা আমিন ।
এবারের বিশ্ব শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে অন্তর্ভুক্তি ও বৈষম্যের বিরোধিতা। এই চেতনার অংশ হিসেবে ইউনিসেফ কক্সবাজারে একটি প্রীতি ফুটবল খেলায় রোহিঙ্গা শরণার্থী মেয়ে ও বাংলাদেশি মেয়েদের একত্রিত করে। ইউনিসেফের কাজের অংশ হিসাবে আনন্দের মুহূর্তটি ছিল সেই শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করা, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত ডেভিড বেকহ্যাম, সার্জিও রামোস, রবার্ট লেভানডভস্কি এবং বাংলাদেশ জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের ফুটবল দলের সদস্যদের নিয়ে নির্মিত বিশ্ব শিশু দিবসের ভিডিওটির প্রতিপাদ্য অন্তর্ভুক্তি ও খেলাধুলার শক্তি। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া ভিডিওটি ইতোমধ্যে দেখা হয়েছে ১০ লাখের বেশিবার।
ইউনিসেফের ইয়ুথ অ্যাডভোকেট ফারজানা ফারুক ঝুমু এবং রাবা খানও জলবায়ু পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আকর্ষণীয় কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
বৈশ্বিক #IFeltIncluded প্রচারাভিযানে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিশুরা বিশ্বকে তাদের বার্তা পাঠিয়েছে যে, প্রতিটি শিশুর সব ধরনের বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অন্যদিকে শিশু সাংবাদিকরা তাদের কমিউনিটিতে থাকা প্রচলিত বদ্ধমূল ধ্যানধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো শিশুদের সম্পর্কে গল্প লিখছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিঃ শেলডন ইয়েট বলেন, “শিশুরা তাদের পরিবার, স্কুল ও কমিউনিটিতে শক্তিশালী পরিবর্তনের দূত হতে পারে এবং তা হওয়া উচিত। তাদের অভিমত, পছন্দ এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে।”
###
সম্পাদকদের জন্য নোট:
উচ্চ রেজ্যুলেশনের ছবি ডাউনলোড করুন এখান থেকে
গণমাধ্যম বিষয়ক যোগাযোগ
ইউনিসেফ সম্পর্কে
বিশ্বের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে পৌঁছাতে বিশ্বের কঠিনতম কিছু স্থানে কাজ করে ইউনিসেফ। ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সর্বত্র সব শিশুর জন্য আরও ভালো একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে আমরা কাজ করি।
ইউনিসেফ এবং শিশুদের জন্য এর কাজ সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.unicef.org.
ইউনিসেফকে অনুসরণ করুন Twitter, Facebook, Instagram এবং YouTube-এ।